জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৫: সম্পূর্ণ গাইডলাইন ও প্রস্তুতি

Written by Mas-IT Team

Updated on:

পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্যের মাঝে অবস্থিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও সম্মানিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ১৯২০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়, যাত্রা শুরু করেছিল “জগন্নাথ কলেজ” হিসেবে। কালের বিবর্তনে এটি আজ একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়েছে যেখানে মানবিক, বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা, সামাজিক বিজ্ঞান এবং চারুকলা – এই পাঁচটি অনুষদের অধীনে বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চশিক্ষা প্রদান করা হয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শুধু একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই নয়, এটি একটি ঐতিহ্য, একটি সংস্কৃতি। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব শিক্ষা লাভ করেছেন যারা আজ দেশ ও দশের সেবায় নিয়োজিত।

প্রতিবছর হাজার হাজার শিক্ষার্থী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা লাভের স্বপ্ন দেখে। আর এই স্বপ্ন পূরণের প্রথম ধাপ হলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া। এই পরীক্ষা অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক এবং প্রস্তুতি ছাড়া এই পরীক্ষায় সফল হওয়া সম্ভব নয়।

এই আর্টিকেলে আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৫ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব যা আপনাকে ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হতে সাহায্য করবে। আমরা ভর্তি পরীক্ষার যোগ্যতা, সময়সূচি, প্রশ্নপত্রের ধরণ, প্রস্তুতি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে আলোচনা করব। আশা করি, এই আর্টিকেলটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক সকল শিক্ষার্থীর জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৫

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৫ সাধারণত নভেম্বর/ডিসেম্বর মাসে প্রকাশিত হয়। এই বিজ্ঞপ্তিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (www.jnu.ac.bd) এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ, সময়, আবেদনের প্রক্রিয়া, যোগ্যতা, ফি ইত্যাদি সকল তথ্য বিস্তারিত ভাবে উল্লেখ থাকে।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য (তথ্যগুলো পূর্ববর্তী বছরের ভিত্তিতে দেওয়া হলো, ২০২৫ সালের তথ্য ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে আপডেট করা হবে):

  • আবেদনের ওয়েবসাইট: admission.jnu.ac.bd
  • আবেদনের সময়: সাধারণত ডিসেম্বর মাস
  • ভর্তি পরীক্ষার সময়: জানুয়ারি/ফেব্রুয়ারি মাস
  • আবেদনের ফি: প্রতি ইউনিটের জন্য ৫০০ টাকা (পূর্ববর্তী বছরের তথ্য)

বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পূর্বে কিছু জিনিস মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ:

  • ওয়েবসাইট নিয়মিত চেক করুন: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (www.jnu.ac.bd) নিয়মিত চেক করুন যাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৫ প্রকাশের সাথে সাথে আপনি জানতে পারেন। ওয়েবসাইটের নোটিশ বোর্ড এবং “Admission” ট্যাবে নজর রাখুন। এছাড়াও, বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ফলো করতে পারেন।
  • জাতীয় দৈনিক পড়ুন: প্রথম আলো, দৈনিক ইত্তেফাক, কালের কণ্ঠ – এই ধরণের প্রধান প্রধান জাতীয় দৈনিক নিয়মিত পড়ুন। শিক্ষা সংক্রান্ত পাতাগুলো ভালোভাবে পড়ুন কারণ এখানে ভর্তি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়।
  • বিশ্ববিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ড দেখুন: সুযোগ হলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যান এবং প্রশাসনিক ভবন এবং বিভিন্ন অনুষদের নোটিশ বোর্ডে নজর রাখুন। অনেক সময় ওয়েবসাইটে প্রকাশের আগেই নোটিশ বোর্ডে ভর্তি সংক্রান্ত তথ্য দেওয়া হয়।
  • সোশ্যাল মিডিয়া: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ও বিভিন্ন শিক্ষা সংক্রান্ত গ্রুপে সক্রিয় থাকুন। এখানে আপনি ভর্তি সংক্রান্ত আপডেট পাওয়ার সাথে সাথে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সাথে জ্ঞান আদান-প্রদান করতে পারবেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি আবেদন যোগ্যতা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা দিতে হলে কিছু ন্যূনতম যোগ্যতা পূরণ করতে হবে। এই যোগ্যতাগুলো প্রতি বছর ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ থাকে। তাই বিজ্ঞপ্তিটি ভালোভাবে পড়ে নিশ্চিত হোন যে আপনি আবেদনের যোগ্য কিনা।

সাধারণ যোগ্যতা:

  • এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। সাধারণত, যারা ২০২৩ সালে এসএসসি এবং ২০২৫ সালে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন তারাই আবেদন করতে পারবেন। তবে কিছু ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী বছরের পরীক্ষার্থীরাও আবেদন করার সুযোগ পেতে পারেন।
  • নির্দিষ্ট জিপিএ প্রাপ্ত হতে হবে। এসএসসি ও এইচএসসি মিলিয়ে ন্যূনতম জিপিএ ৬.০০ থেকে ৭.০০ (বিভিন্ন ইউনিটের জন্য আলাদা আলাদা হতে পারে) প্রয়োজন হয়। কিছু বিষয়ের জন্য জিপিএ এর প্রয়োজনীয়তা বেশি হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ফার্মেসি বিভাগে ভর্তি হতে হলে জীববিজ্ঞানে নির্দিষ্ট জিপিএ থাকতে হবে।
  • কিছু বিষয়ের জন্য নির্দিষ্ট বিষয়ে এইচএসসি পাশ করা বাধ্যতামূলক। যেমন, বিজ্ঞান বিভাগের জন্য বিজ্ঞান বিভাগে এইচএসসি পাশ করা প্রয়োজন। কিছু ক্ষেত্রে এইচএসসি তে ঐচ্ছিক বিষয়ের উপর ভিত্তি করে আবেদনের যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়। যেমন, অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হতে হলে অর্থনীতি বিষয়ে এইচএসসি পাশ করা বাধ্যতামূলক হতে পারে।

বিভিন্ন ইউনিটের জন্য আলাদা আলাদা যোগ্যতা থাকতে পারে। তাই ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ভালোভাবে পড়ে আপনার ইউনিটের জন্য প্রযোজ্য যোগ্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হোন।

বিশেষ বিঃদ্রঃ:

  • কোটা: কোটা (মুক্তিযোদ্ধা,প্রতিবন্ধী) থাকলে জিপিএ এর ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় থাকতে পারে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দেখুন। কোটা প্রার্থীদের জন্য আলাদা আবেদন প্রক্রিয়া থাকতে পারে।
  • বয়স: কিছু বিষয়ের জন্য বয়সের সীমা থাকতে পারে। বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা থাকবে।

জগন্নাথ বিশ্বদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ থাকে। পরীক্ষা সাধারণত জানুয়ারি/ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে পরীক্ষার তারিখ এগিয়ে বা পিছিয়ে যেতে পারে।

পরীক্ষা পাঁচটি ইউনিটে বিভক্ত:

  • A ইউনিট: বিজ্ঞান অনুষদ (গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, প্রাণিবিদ্যা, উদ্ভিদবিদ্যা, ফার্মেসি, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বায়োটেকনোলজি)
  • B ইউনিট: কলা ও মানবিক অনুষদ (বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস, দর্শন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, সমাজবিজ্ঞান)
  • C ইউনিট: ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ (একাউন্টিং এবং তথ্য ব্যবস্থা, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ, ফিন্যান্স এবং ব্যাংকিং, মার্কেটিং)
  • D ইউনিট: সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ (অর্থনীতি, রাজনীতি বিজ্ঞান, সমাজকর্ম, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক)
  • E ইউনিট: চারুকলা অনুষদ (ড্রয়িং এবং পেইন্টিং, গ্রাফিক ডিজাইন, প্রিন্ট মেকিং, শিল্পকলা)

প্রতিটি ইউনিটের পরীক্ষার তারিখ ও সময় আলাদা আলাদা হয়। তাই ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ভালোভাবে পড়ে আপনার ইউনিটের পরীক্ষার সময়সূচি জেনে নিন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা প্রশ্নপত্র কেমন হবে?

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা প্রশ্নপত্রের ধরন সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি। এটি আপনাকে মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে এবং কৌশলগত ভাবে পরীক্ষার মোকাবেলা করতে সাহায্য করবে। প্রশ্নপত্রের কাঠামো সাধারণত এইচএসসি সিলেবাসের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়। তবে বিভিন্ন ইউনিটের প্রশ্নপত্রে পার্থক্য থাকে।

প্রশ্নের ধরন:

  • বহুনির্বাচনি প্রশ্ন (MCQ): সকল ইউনিটের পরীক্ষায় শুধুমাত্র বহুনির্বাচনি প্রশ্ন থাকে। প্রতিটি প্রশ্নের চারটি বিকল্প থাকে যেখান থেকে সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করতে হয়।
  • সময়: প্রতিটি ইউনিটের জন্য পরীক্ষার সময় ১ ঘন্টা।
  • মোট নম্বর: প্রতিটি ইউনিটের পরীক্ষা ১০০ নম্বরের হয়।
  • নম্বর বণ্টন: প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর এবং ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যায়।

বিষয় ভিত্তিক প্রশ্ন বিন্যাস:

  • বাংলা (B ইউনিট):
    • ব্যাকরণ (৩০ নম্বর): এই অংশে ধ্বনি, বর্ণ, শব্দ, পদ, বাক্য রচনা, বাক্য বিশ্লেষণ, ছন্দ ইত্যাদি থেকে প্রশ্ন আসে।
    • সাহিত্য (৭০ নম্বর): এইচএসসি পাঠ্য সূচির কবিতা, নাটক, উপন্যাস, প্রবন্ধ থেকে প্রশ্ন আসে। লেখক পরিচিতি, রচনার সারসংক্ষেপ, চরিত্র বিশ্লেষণ, প্রাসঙ্গিক উদ্ধৃতি ইত্যাদি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ।
  • ইংরেজি (B ইউনিট):
    • ব্যাকরণ (৪০ নম্বর): Tense, Voice, Narration, Parts of Speech, Preposition, Sentence Structure ইত্যাদি থেকে প্রশ্ন আসে।
    • Vocabulary (৩০ নম্বর): Synonyms, Antonyms, Idioms, Phrases, One word substitution ইত্যাদি থেকে প্রশ্ন আসে।
    • Reading Comprehension (৩০ নম্বর): একটি অনুচ্ছেদ দেওয়া থাকে এবং সেখান থেকে প্রশ্নের উত্তর করতে হয়।
  • সাধারণ জ্ঞান (সকল ইউনিট):
    • বাংলাদেশ (৫০ নম্বর): বাংলাদেশের ইতিহাস, ভূগোল, সংস্কৃতি, রাজনীতি, অর্থনীতি, সাম্প্রতিক ঘটনাবলী ইত্যাদি থেকে প্রশ্ন আসে।
    • আন্তর্জাতিক (৫০ নম্বর): বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ দেশ, সংস্থা, ঘটনাবলী, খেলাধুলা ইত্যাদি থেকে প্রশ্ন আসে।
  • গণিত (A ইউনিট):
    • Algebra (৪০ নম্বর): Set, Equation, Inequality, Function, Logarithm ইত্যাদি থেকে প্রশ্ন আসে।
    • Trigonometry (৩০ নম্বর): Trigonometric Ratio, Identity, Equation ইত্যাদি থেকে প্রশ্ন আসে।
    • Geometry (৩০ নম্বর): Triangle, Circle, Coordinate Geometry ইত্যাদি থেকে প্রশ্ন আসে।
    • Calculus (কিছু ইউনিটের জন্য): Limit, Differentiation, Integration ইত্যাদি থেকে প্রশ্ন আসে।

বিঃদ্রঃ উপরের প্রশ্ন বিন্যাস একটি সাধারণ ধারণা মাত্র। প্রতি বছর প্রশ্ন বিন্যাসে সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। তাই পূর্ববর্তী বছরের প্রশ্নপত্র দেখে প্রস্তুতি নেওয়া ভালো।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা প্রস্তুতি কিভাবে নেবেন?

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক। তাই সঠিক পদ্ধতিতে প্রস্তুতি না নিলে এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া কঠিন। প্রস্তুতির জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নীচে আলোচনা করা হলো:

১. সিলেবাস ভালোভাবে অনুসরণ করুন:

  • এইচএসসি সিলেবাস ভালোভাবে পড়ুন। সকল বিষয়ের উপর ভালো ধারণা থাকা গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে যে বিষয়গুলোতে আপনি দুর্বল, সেগুলোর উপর বেশি বেশি ধ্যান দিন।
  • প্রতিটি বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলো চিহ্নিত করুন এবং সেগুলো ভালোভাবে অনুশীলন করুন।
  • প্রয়োজনে নোট তৈরি করুন এবং নিয়মিত পুনরাবৃত্তি করুন।

২. পূর্ববর্তী বছরের প্রশ্ন সমাধান করুন:

  • গত কয়েক বছরের প্রশ্ন সমাধান করলে পরীক্ষার ধরণ সম্পর্কে ধারণা পাবেন।
  • এতে করে আপনি বুঝতে পারবেন কোন বিষয় থেকে কি ধরণের প্রশ্ন আসে এবং কিভাবে উত্তর করতে হয়।
  • আপনার দুর্বল জায়গাগুলো চিহ্নিত করে সেগুলোর উপর বেশি কাজ করুন।

৩. মক টেস্ট দিন:

  • নিয়মিত মক টেস্ট দিলে আপনার প্রস্তুতির অগ্রগতি বুঝতে পারবেন।
  • এটি আপনাকে পরীক্ষার হলে সময় ব্যবস্থাপনা এবং মানসিক চাপ মোকাবেলা করতে সাহায্য করবে।
  • অনলাইনে অনেক ওয়েবসাইট আছে যেখানে আপনি মক টেস্ট দিতে পারবেন। এছাড়াও, বিভিন্ন কোচিং সেন্টার থেকে মক টেস্ট সংগ্রহ করতে পারেন।

৪. সময় ব্যবস্থাপনা শিখুন:

  • পরীক্ষায় সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই সময় ব্যবস্থাপনা শিখুন এবং নিয়মিত অনুশীলন করুন।
  • প্রতিটি প্রশ্নের জন্য কত সময় ব্যয় করবেন তা আগে থেকে ঠিক করে রাখুন।
  • যে প্রশ্নগুলোতে আপনি সময় বেশি লাগছে, সেগুলো পরে করার জন্য রেখে দিন।

৫. কোচিং করতে পারেন:

  • প্রয়োজনে ভালো কোন কোচিং সেন্টারে ভর্তি হতে পারেন। তবে কোচিং সেন্টার নির্বাচনের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন।
  • অভিজ্ঞ শিক্ষকদের ক্লাস করুন এবং নিয়মিত ক্লাস করুন।
  • কোচিং সেন্টারের প্রদত্ত নোট এবং গাইড ভালোভাবে পড়ুন।

৬. মানসিক প্রস্তুতি গুরুত্বপূর্ণ:

  • পরীক্ষার আগে মানসিক ভাবে প্রস্তুত থাকা গুরুত্বপূর্ণ।
  • পরীক্ষার বিষয়ে নেতিবাচক চিন্তা না করে ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করুন।
  • পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন এবং স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখুন।
  • পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে সময় কাটান এবং তাদের সাথে আপনার অনুভূতি শেয়ার করুন।

৭. কিছু গুরুত্বপূর্ণ বই:

  • এইচএসসি পাঠ্যবই
  • প্রফেসর’স গাইড
  • MP3 গাইড
  • পূর্ববর্তী বছরের প্রশ্ন ব্যাংক
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৫
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৫

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে লেখকের শেষ কথা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ অর্জন করা অনেক শিক্ষার্থীর স্বপ্ন। ভর্তি পরীক্ষা অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক হলেও সঠিক প্রস্তুতি এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে আপনি অবশ্যই সফল হতে পারবেন।

মনে রাখবেন, ভর্তি পরীক্ষা শুধুমাত্র একটি মাধ্যম। আপনার প্রকৃত লক্ষ্য হওয়া উচিত জ্ঞান অর্জন এবং নিজেকে উন্নত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা। তাই পরীক্ষার চাপে মানসিক ভাবে ভাঙবেন না। ইতিবাচক মনোভাব রাখুন এবং আত্মবিশ্বাসের সাথে পরীক্ষার মোকাবেলা করুন।

আপনার ভর্তি পরীক্ষায় শুভকামনা!

Mas-IT Team

হ্যালো, আমি জারীফ। আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি মূলত শিক্ষা বিষয়ে লেখালেখি করে থাকি। আশাকরি আমি আপনাদের সঠিক তথ্য দিতে পারছি।

Leave a Comment