জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর অনেক সময় বিভিন্ন কারণে ভর্তি বাতিল করার প্রয়োজন হতে পারে । বিশেষ করে যারা গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় বা ঢাকার সাত কলেজে সুযোগ পেয়েছেন তাদের জন্য এই প্রক্রিয়াটি জানা বেশি জরুরি। আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের বিস্তারিত জানাবো—অনার্স ভর্তি বাতিলের আবেদন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, খরচ এবং সময়সীমা সম্পর্কে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বাতিল করার পদ্ধতি
(NU Admission Cancel Process)
ভর্তি বাতিল করার দুটি উপায় রয়েছে:
- অনলাইনে আবেদন করে (ঘরে বসে বা দোকান থেকে)
- সরাসরি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গাজীপুর মেইন ক্যাম্পাসে গিয়ে
ভর্তি বাতিলের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- ভর্তি বাতিলের জন্য একটি দরখাস্ত (সঠিক ফরম্যাটে লিখতে হবে)।
- ভর্তি সময় অনলাইনে নেওয়া Admission Copy / ফর্ম।
- ভর্তি সময় পাওয়া স্লিপ বা রিসিট।
- কলেজের ডিপার্টমেন্ট প্রধান এবং প্রিন্সিপালের স্বাক্ষর।
অনার্স ভর্তি বাতিলের জন্য দরখাস্ত (নমুনা)
তারিখঃ ০১/০৯/২০২৫ইং
বরাবর,
রেজিস্টার
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
গাজীপুর।
মাধ্যমঃ অধ্যক্ষ, [আপনার কলেজের নাম], [জেলা]।
বিষয়ঃ ভর্তি বাতিলের জন্য আবেদন।
জনাব,
সবিনয় নিবেদন এই যে, আমি ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে [আপনার কলেজের নাম], অনার্স [বিষয়ের নাম] বিভাগে ভর্তি হয়েছিলাম। বর্তমানে আমি [যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবেন তার নাম]-এ ভর্তি হওয়ার জন্য মনোনীত হয়েছি। তাই আমি ভর্তি বাতিল করতে চাই।
অতএব, বিনীত প্রার্থনা, উক্ত বিষয়টি বিবেচনা করে আমার ভর্তি বাতিল করে মূল নম্বরপত্র উত্তোলনের অনুমতি প্রদানের জন্য আপনাকে বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।
বিনীত নিবেদক
[আপনার নাম]
অনার্স [বিষয়ের নাম]
শিক্ষাবর্ষঃ ২০২৪-২৫
ভর্তি রোলঃ ০০০০

মনে রাখবেন, দরখাস্তে অবশ্যই বরাবর “রেজিস্টার, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়” লিখতে হবে এবং মাধ্যম হবে আপনার কলেজের নাম।
ভর্তি বাতিল করার ধাপসমূহ
- দরখাস্ত লিখে ডিপার্টমেন্ট প্রধান এবং প্রিন্সিপালের স্বাক্ষর নিন।
- Admission Copy এবং ভর্তি স্লিপ সঙ্গে রাখুন।
- অনলাইনে ভর্তি বাতিলের আবেদন করুন (নিজে করতে পারেন অথবা দোকানে গিয়ে করতে পারেন)।
- অনলাইন আবেদন করার ২–৩ দিনের মধ্যে দুটি রিসিট/পেপার পাবেন।
- এগুলো ডিপার্টমেন্টে জমা দিলে আপনাকে মূল মার্কশিট/নম্বরপত্র প্রদান করা হবে।
ভর্তি বাতিল করতে কত টাকা লাগে?
- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি: ২০০ টাকা
- দোকান থেকে করলে অতিরিক্ত: ১০০–১৫০ টাকা লাগতে পারে
ভর্তি বাতিল করতে কতদিন লাগে?
সাধারণত ২–৩ দিনের মধ্যেই ভর্তি বাতিল হয়ে যায়।ভুল করলে বা ফাইল সঠিকভাবে সাবমিট না করলে সময় বেশি লাগতে পারে। তবে সর্বোচ্চ ১৫ দিনের মধ্যে ভর্তি বাতিল সম্পন্ন হয়।
শেষ কথা ,
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বাতিল করা খুব বেশি কঠিন নয়। শুধু সঠিকভাবে দরখাস্ত লেখা, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করা এবং অনলাইন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করলেই হবে। খরচও খুব বেশি না —২০০ থেকে ৩৫০ টাকার মধ্যে হয়ে যায় । আর সময় লাগবে সর্বোচ্চ ২–৭ দিন, কোনো ভুল না হলে ২–৩ দিনের মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে।
আরো দেখুন :মেডিকেল প্রশ্ন ব্যাংক PDF।মেডিকেল প্রশ্ন ব্যাংক PDF সংগ্রহ করুন ২০২৫
FAQ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বাতিল করার নিয়ম কী?
উত্তর: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বাতিল করতে হলে আপনাকে প্রথমে কলেজে লিখিত ভাবে আবেদন লিখে জমা দিতে হয়। এরপর কলেজ কর্তৃপক্ষ আবেদন যাচাই করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেরণ করযে , তখন ভর্তি বাতিল সম্পন্ন হয়।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বাতিল করতে কত টাকা লাগে?
উত্তর:জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি: ২০০ টাকা
ভর্তি বাতিল করতে কত দিন সময় লাগে?
উত্তর: সাধারণত ২–৩ দিনের মধ্যেই ভর্তি বাতিল হয়ে যায়।তবে অনেক সময় ৭ থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত লেগে যায় ।
একবার ভর্তি বাতিল করলে কি নতুন করে ভর্তি হওয়া সম্ভব?
উত্তর: হ্যাঁ, পূর্বের ভর্তি বাতিল করলে আপনি পরবর্তী শিক্ষাবর্ষে নতুন ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
